মাছ চাষের পদ্ধতি

মাছ চাষের পদ্ধতি

পুকুরে মাছ চাষে পদ্ধতির সাধারণ ধাপসমূহ নিচে পর্যায়ক্রম আলোচনা কর হলো।

১) পাড় ও তলা ঠিক করা: পুকুরের পাড় ভাঙ্গা থাকলে তা ঠিক করতে হবে। পুকুরে তলা অসমান থাকলে তার সমান করতে হবে।নতুবা পুকুরে জাল টানতে অসুবিধা হবে।পুকুরে অতিরিক্ত কাদা জমা থাকলে তা তুলে ফেলতে হবে।তা না হলে পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করতে পারে।

২) আগাছা দমন: পুকুরে বিভিন্ন ক্ষতিকর আগাছা দমন করতে হবে। তা না করলে পুকুরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: সূর্য আলো কুকুরে পৌছাবেনা, মাছের চলাফেরায় অসুবিধা হতে পারে ওরাতে এবং মেঘলা দিনে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।

৩) রাক্ষসী মাছ অপসারণ: পুকুরে রাক্ষসে মাছ দুই ভাবে অপসারণ করা যায়।যথা-
   ক) জাল টেনে:মাছ চাষের আগে ঘনঘন জাল টেনে পুকুরে রাক্ষসে মাছ তুলে ফেলতে হবে।যদি জাল টেনে রাক্ষসে মাছ অপসারণ করা তবে পুকুরে পানি শুকিয়ে ফেলতে হবে।
   খ)ওষুধ প্রয়োগ: জাল টেনে বা পানি শুকিয়ে চুতিয়া রাক্ষসে মাছ অপসারণ করা সম্ভব না হয় ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।এজন্য প্রতি শতাংশের ৩০ সে.মি. গভীরতার জন্য একটি ‍ করে ফসটকসিন ট্যাবলেট দিতে হবে।

৪) চুন ও সার প্রয়োগ: পুকুরের ঘোলা পানি ও বিষাক্ত তার শোধন এবং প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য চুন ও সার প্রয়োগ করতে হবে।

৫) পোনা সংগ্রহ ও মজুদ: নিকটবর্তী কোনো সরকারি বা বেসরকারি খামার থেকে পোনা সংরক্ষণ করতে হবে। খামার থেকে সরাসরি পোনা মজুদ করা উচিত না । কারণ ব্যাক বা পাতিলের তাপমাত্রা কুকুরের তাপমাত্রা সাথে সমান হয় না। তাই ব্যাগ বা পাতিলকে কিছুক্ষণ পুকুরে চুবিয়ে রাখতে হবে এরপর পোনা মজুদ করতে হবে।

৬) সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ: পুকুরে খাদ্যের অভাব দেখা দিলে বা মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে।

৭) মাছ আহরণ: পুকুরে যেগুলো মাছ বড় হয়ে গেছে সে গুলোকে তুলে বাজারজাত করতে হবে

No comments

Theme images by luoman. Powered by Blogger.